নিয়ামতপুর (নওগাঁ) প্রতিনিধি:
নওগাঁর নিয়ামতপু উপজেলার গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন ও বালাতৈড় সিদ্দিক হোসেন ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক বাবুল আক্তারের বিরুদ্ধে জোরপূর্বক হাটের খাজনা আদায়ের অভিযোগে কয়েকটি জাতীয় দৈনিক ও অনলাইন পত্রিকায় সংবাদ প্রকাশ হয়। প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদ জানিয়ে প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন ও বাবুল আক্তার সংবাদ সম্মেলন করেছেন।
সোমবার (৩ ফেব্রুয়ারি) দুপুরে গুজিশহর বাজারে সংবাদ সম্মেলনে বাবুল আক্তার বলেন, গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয় সংলগ্ন হাট আহসান হাবীব নামের এক ব্যক্তি সরকারি নিয়ম অনুযায়ী এক বছরের জন্য ইজারা নেন। মাসব্যাপী গুজিশহর প্রেমগোসাই মেলা চলাকালীন হাটটি মেলা কমিটি নিয়ন্ত্রণ করে। কিন্তু শ্রীমন্তপুর ইউনিয়নের বৈরকুড়ি গ্রামের ওহির উদ্দিন নামের এক ব্যক্তি বিষয়টি ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে চাঁদাবাজির অভিযোগ এনে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার কার্যালয়ে অভিযোগ করেন। তারই সূত্র ধরে বেশ কিছু সংবাদ মাধ্যমে "স্কুলের উন্নয়নে দুই শিক্ষকের বিরুদ্ধে চাঁদাবাজির অভিযোগ" শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হয়। এ ধরনের কর্মকাণ্ডের সাথে আমরা কোনভাবেই জড়িত নয়। আমাদের সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য তারা এ ধরনের অভিযোগ করেছেন। আমরা প্রশাসনের কাছে এ ঘটনার সুষ্ঠু বিচার দাবি করছি।
গুজিশহর উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক নুরুল আমিন বলেন, কয়েক শত বছরের পুরোনো গুজিশহর প্রেমগোসাই মেলা। দীর্ঘদিন ধরে মেলা চলাকালীন সময়ে কাঁচা তরকারির হাটটি মেলা এলাকায় চলে আসে। সেখান থেকে আয়ের টাকা স্কুল ফান্ডে জমা হয়। যেখান থেকে স্কুল ও বাচ্চাদের উন্নয়নে খরচ করা হয়। মেলা কমিটির সিদ্ধান্ত অনুযায়ী ও হাট ইজারা নেওয়া ব্যক্তির সাথে সমন্বয় করে এক মাসের হাটের টাকা স্কুলের ফান্ডে জমা হয়। জনৈক ওহির উদ্দিন বিসয়টিকে ভিন্নখাতে প্রবাহিত করতে এ ধরনের অভিযোগ করেন। আমি প্রতিদিন ওহির উদ্দিনের বাড়ির পাশ দিয়ে স্কুলে চলাফেরা করি। তিনি আমাকে প্রাণে মেরে ফেলার হুমকি প্রদান করেন। আমি ওহির উদ্দিনের বিচার দাবি করছি।
তবে ওহির উদ্দিন জানান, আমি ওই হাটে খাজনা আদায় করি। খাজনা আদায় না হওয়ায় স্কুল কর্তৃপক্ষকে জানানো হয়। তারা এর সুষ্ঠু সুরাহা না করায় অভিযোগ করেছি। স্কুলের প্রধান শিক্ষককে আমি কোন হুমকি প্রদান করিনি। তবে স্কুলের উন্নয়ন হোক সেটা আমরাও চাই।
দৈনিক সোনালী রাজশাহী / সবুজ সরকার